মামলা করেছেন পরীমনি, ৬ জন আসামি ?!
সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ জানানোর পর ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে সাভার থানায় মামলা করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।
সাভার থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলায় উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির ইউ মাহমুদসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।”
আবাসন ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (বিনোদন ও সংস্কৃতি)। গত বুধবার রাতে ওই বোট ক্লাবেই নাসির মাহমুদ চড়াও হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমনি।
তার অভিযোগের বিষয়ে নাসিরের বক্তব্য জানা যায়নি। তার একটি মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। আরেকটি নম্বরে ফোন করলে তা ধরেন উত্তরা ক্লাবের এক কর্মচারী। তিনি বলেন যে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
নড়াইলের মেয়ে শামসুন্নাহার স্মৃতি চলচ্চিত্রে পরীমনি নাম নিয়ে ২০১৫ সালে নামার পর দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ইতোমধ্যে দুই ডজন চলচ্চিত্রে নায়িকার চরিত্র রূপায়ন করেছেন তিনি।
রোববার রাতে এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।”
পুলিশে জানিয়ে ফল পাননি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়ে লেখেন এই অভিনেত্রী। তার ওই পোস্ট দ্রুত সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
পোস্টটি দেখার পর যোগাযোগ করা হলে পরীমনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি ভালো নাই। এমন ঘটনা নিজের উপর না ঘটলে আমরা কেউ বুঝব না, কী ঘটেছে। আমি এর বিচার চাই।”
তার ঘণ্টাখানেক পর গুলশানে নিজের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, গত বুধবার রাতে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি ও জিমির বন্ধু অমির সঙ্গে তিনি বোট ক্লাবে গিয়েছিলেন। ক্লাব তখন বন্ধ হয় হয়। দুজন বয়স্ক ব্যক্তি সেখানে তাদের মদ পানের আমন্ত্রণ জানায়। শরীর খারাপ বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন পরীমনি।
ওই দুজনের একজন নাসির মাহমুদ বলে পরীমনির ভাষ্য।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জোরাজুরির এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে কিছু লোক। এক পর্যায়ে নাসির মাহমুদ তার মুখে মদের বোতল ‘ঠেসে ধরে গিলতে’ বাধ্য করেন, তাকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ চালান।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর ছাড়া পেয়ে বনানী থানায় গিয়েছিলেন জানিয়ে পরীমনি বলেন, তার মুখে মদের গন্ধ থাকায় পুলিশ কর্মকর্তারা তার কথা শুনতে চায়নি। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে ওয়াশ করার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে তিনি বাসায় চলে আসেন।