প্রমাণিতঃ জোরপূর্বক পরীমনির মুখে মদের বোতল চেপে ধরেন নাসির?!

প্রমাণিতঃ জোরপূর্বক পরীমনির মুখে মদের বোতল চেপে ধরেন নাসির?!


 ঢাকা: ঢাকা বোট ক্লাবের ভেতরে বসিয়ে অভিনেত্রী পরীমনিকে প্রথমেই মদ্যপানের প্রস্তাব দেন অভিযুক্ত আসামি নাসির উদ্দিন ও অমি তালুকদার। মদ্যপান করতে না চাইলে পরীমনির মুখে জোরপূর্বক মদের বোতল চেপে ধরেন নাসির উদ্দিন।

এতে পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জিমি বাধা দিতে গেলে অভিযুক্ত অমিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা বেধড়ক মারধর করেন। আর এদিকে টেবিলে থাকা গ্লাস ও মদের বোতল ভাঙচুর করে পরীমনিকে ছুড়ে মারেন নাসির উদ্দিন।

ঘটনার সময় পরীমনি তার মোবাইল ফোন বের করে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ কল দিতে গেলে তার হাত থেকে টেনে ফোনটি ফেলে দেন নাসির উদ্দিন। পুনরায় ফোনটি তুলে কল দিতে গেলে আবারও টেনে ফেলে দেন তিনি। এরপর পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টায় অমিসহ বাকি চারজন নাসির উদ্দিনকে সহায়তা করছিল। তবে সেখানে জিমি ও অন্যদের সহায়তায় নিজেকে রক্ষা করে ক্লাব থেকে বেরিয়ে যান পরীমনি।

সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে ঢাকার সাভার মডেল থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে অভিনেত্রী পরীমনি এমনটাই উল্লেখ করেছেন।

জানা গেছে, অভিনেত্রী পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার অভিযুক্ত আসামি নাসির উদ্দিন প্রতিষ্ঠিত একজন শিল্পপতি। দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে ডেভেলপারসের ব্যবসায়ে যুক্ত আছেন। বর্তমানে তিনি কুঞ্জ ডেভেলপারস লিমিটেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) সাবেক নির্বাহী পরিষদের সদস্য। ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের উত্তরা ক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি এবং লায়ন ক্লাবের ঢাকা জোনের চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে ঢাকা বোট ক্লাবের এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল মেম্বার।  

এদিকে সোমবার অভিনেত্রী পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা দায়েরের পরপরই ডিবি পুলিশ রাজধানীর উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাসা থেকে অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন ও অমি তালুকদারসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে অমির গার্লফ্রেন্ড স্নিগ্ধা ও নাসিরের দুই নারী সঙ্গী লিপি ও সুমি রয়েছেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নাসিরের বিরুদ্ধে আগে মাদক ও নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে। নানা অভিযোগে তাকে উত্তরা ক্লাব থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় নিয়ে রোববার (১৩ জুন) রাতে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের পরপরই আমরা অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তবে রাতে মামলা না হওয়ার কারণে ডিবি পুলিশ অ্যাকশনে যাইনি। সাভার থানায় দায়ের করা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করি।

Ads on article

Advertise in articles 1

advertising articles 2

Advertise under the article