মামলার এজাহারে যা উল্লেখ রয়েছে
মামলার এজাহারে যা উল্লেখ রয়েছে
গত ৮ জুন রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে বনানীর বাসা থেকে আমার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি, অমি, ও বনিসহ দু’টি গাড়ি করে উত্তরার উদ্দেশে রওয়ানা হই। পথিমধ্যে অমি বলে বেরিবাঁধের ঢাকা বোট ক্লাব লিমিটেডে তার দুই মিনিটের কাজ আছে। অমির কথামতো আমরা ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে যাই তখন রাত সাড়ে ১২টা। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। তখন অমি ভেতরে যায় এবং অমি অনুরোধ করে এখানের পরিবেশ অনেক সুন্দর তোমরা নামলে নামতে পারো। তখন আমার ছোট বোন বনির প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে আমরা ঢাকা বোট ক্লাবে ঢুকি এবং বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করি। টয়লেট থেকে বের হতেই নাসির উদ্দিন আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করে এবং কফি খাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ নাসির উদ্দিন মদ্যপান করার জন্য জোর করে। আমি মদাপান করতে না চাইলে নাসির উদ্দিন জোর করে আমার মুখের মধ্যে মদের বোতল চেপে ধরে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। তখন আমার সামনের দাঁত ও ঠোটে আঘাত পাই।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, অমিসহ অজ্ঞাতনামা চারজন আসামি নাসির উদ্দিনকে ঘটনা ঘটাতে সহায়তা করছিল। আমি অজ্ঞাতনামা আসামিদের দেখলে শনাক্ত করতে পারবো। মামলার দুই নম্বর আসামি অমি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাকে ঢাকা বোট ক্লাবে নিয়ে যায় এবং সেখানে নাসির উদ্দিন আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে ও জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
আমার সঙ্গীদের সহায়তায় ধর্ষকের হাত থেকে রক্ষা পাই। রাত ৩টার দিকে আমার গাড়ি করে প্রায় অচেতন অবস্থায় আমার সঙ্গীদের সঙ্গে ফিরে আসি। এরপর থেকে আসামিরা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে নানা ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিল।