২০০ পরিবারকে এলাকাছাড়ার হুমকি তৃণমূলের,দেখুন আর কি কি করলো !!

২০০ পরিবারকে এলাকাছাড়ার হুমকি তৃণমূলের,দেখুন আর কি কি করলো !!


 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় পরাজিত বিজেপির সমর্থক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে সামাজিক বয়কট, এলাকাছাড়ার হুমকি অব্যাহত রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের হুমকিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে অন্তত ২০০ বিজেপি সমর্থক পরিবারকে সামাজিকভাবে বয়কট করার হুমকি দিয়েছেন তৃণমূলের সমর্থকেরা। বিশেষ করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরে এই হুমকির শিকার হয়ে অন্তত ২০০ বিজেপি সমর্থক পরিবার এলাকা ছেড়ে এখন আশ্রয় নিয়েছে বিজেপির তৈরি ৭টি আশ্রয় ক্যাম্পে।

কেশপুর আসনে এবার নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী শিউলি সাহা। এই আসনের গোলাড়,কলাগ্রাম, মন্তা, ঝেঁতলা, বাগরুই ও বাগপোতা গ্রামে তৃণমূলের অত্যাচার চলছে বলে অভিযোগ আছে। বিজেপির জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, তাঁরা এলাকার ২০০ বিজেপি পরিবারকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, এই এলাকায় বিজেপির সমর্থকেরা কোনো উন্নয়নমুখী কাজে যুক্ত হতে পারবেন না। তাঁদের এখন থেকে বয়কট করছেন এলাকাবাসী। তাঁদের বাজারে ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তাঁদের কাছে কেউ কোনো পণ্য বিক্রি করতে পারবে না। তাঁরা এলাকার চায়ের দোকান থেকে চা পান করতে পারবেন না। নলকূপ বা পানি সরবরাহ প্রকল্প থেকে পানি নিতে পারবেন না। এসব কারণে এই এলাকার বিজেপি পরিবারের পুরুষেরা ঘরছাড়া হয়েছেন।

এই ঘটনার পর তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি দোলা সেন বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। বিজেপি তালিকা দিক, কারা ঘরছাড়া হয়েছে।

এর আগে ঘাটাল বিধানসভার মহিষদা গ্রামে ওই এলাকার ১৮ জন বিজেপি সমর্থককে সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এই ১৮ বিজেপি সমর্থকের নাম লিফলেট আকারে ছাপিয়ে তা তুলে দেওয়া হয়েছিল এলাকায়।

এই ঘাটাল বিধানসভা আসনে এবার জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী শীতল কপাট। তিনি হারিয়ে দেন তৃণমূল প্রার্থী শঙ্কর দলুইকে। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরও শঙ্কর দলুই হুমকি দেন, বিজেপির এগিয়ে থাকা এলাকায় এবার আর কোনো উন্নয়নমুখী কাজ হবে না। এলাকার পঞ্চায়েতেও কোনো সহযোগিতা করা হবে না বিজেপিকে। দেওয়া হবে না কোনো উন্নয়নমুখী কাগজপত্র। শঙ্কর দলুইর এই ঘোষণার পর এলাকার পঞ্চায়েতপ্রধান পুতুল পাত্র ক্ষুব্ধ হয়ে ইস্তফা দিয়েছেন।

শুধু এই কেশপুর বা ঘাটাল নয়, রাজ্যের আরও বহু স্থানে বিজেপির পরাজিতদের ওপর বিভিন্নভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের সমর্থকেরা। যদিও তৃণমূল সব অভিযোগ খারিজ করে বলেছে, বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল এটি। তৃণমূল এসব ঘটনার সঙ্গে আদৌ যুক্ত নয়; বরং তারা রাজ্যের উন্নয়নকাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছে।

Ads on article

Advertise in articles 1

advertising articles 2

Advertise under the article